hsc

সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন ও সমযোজী বন্ধনের তুলনা

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন- প্রথম পত্র | | NCTB BOOK

সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন ও সমযোজী বন্ধনের তুলনা

সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন এবং সমযোজী বন্ধন উভয়ই ইলেকট্রন ভাগাভাগির মাধ্যমে গঠিত হলেও এদের গঠনের পদ্ধতি এবং বৈশিষ্ট্যগুলোতে পার্থক্য রয়েছে।


সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন

  1. ইলেকট্রন উৎস:
    একক পরমাণু সম্পূর্ণ ইলেকট্রন জোড়া সরবরাহ করে বন্ধন গঠন করে।
  2. গঠন প্রক্রিয়া:
    এক পরমাণুর অব্যবহৃত ইলেকট্রন জোড়া অন্য পরমাণুর শূন্য অরবিটালে প্রবেশ করে।
  3. উদাহরণ:
    অ্যামোনিয়া (NH₃) এবং বোরন ট্রাইফ্লুরাইড (BF₃) যৌগে সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন দেখা যায়।
  4. প্রকৃতি:
    এটি বিশেষ ধরণের সমযোজী বন্ধন, যেখানে ইলেকট্রন সরবরাহকারী এবং গ্রহণকারী ভিন্ন।
  5. প্রতীক:
    সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন তীর চিহ্ন (→) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

সমযোজী বন্ধন

  1. ইলেকট্রন উৎস:
    বন্ধনে অংশগ্রহণকারী উভয় পরমাণু ইলেকট্রন সরবরাহ করে।
  2. গঠন প্রক্রিয়া:
    দুটি পরমাণু তাদের একটি বা একাধিক ইলেকট্রন শেয়ার করে বন্ধন গঠন করে।
  3. উদাহরণ:
    হাইড্রোজেন (H₂), ক্লোরিন (Cl₂), এবং পানি (H₂O) এর মতো যৌগে সমযোজী বন্ধন থাকে।
  4. প্রকৃতি:
    এটি সাধারণ সমযোজী বন্ধন, যেখানে উভয় পরমাণু সমানভাবে ইলেকট্রন শেয়ার করে।
  5. প্রতীক:
    সমযোজী বন্ধন ড্যাশ (-) দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন ও সমযোজী বন্ধনের তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্যসন্নিবেশ সমযোজী বন্ধনসমযোজী বন্ধন
ইলেকট্রন উৎসএকটি পরমাণু সরবরাহ করেউভয় পরমাণু সরবরাহ করে
গঠন প্রক্রিয়াএকক ইলেকট্রন জোড়া ভাগাভাগিউভয় পরমাণুর ইলেকট্রন শেয়ারিং
প্রতীকতীর চিহ্ন (→)ড্যাশ (-)
উদাহরণNH₃→BF₃H₂, Cl₂, H₂O
প্রকৃতিবিশেষ সমযোজী বন্ধনসাধারণ সমযোজী বন্ধন

Content added By
Promotion